সর্বশেষ আপটেড

বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট। এর আগে দ্বিতীয় সপ্তাহে সরকার ২৭ মার্চ ২০২১ ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্য বইয়ের প্রথম এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছিল।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিস্তারিত তোমাদের জন্য দেয়া হলো। এখানে তোমরা এই বিষয়ের নির্ধারিত কাজটি পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারবে এবং চাইলে এখান থেকে সরাসরি দেখেও সম্পন্ন করতে পারবে।

শ্রেণিঃ ৬ষ্ঠ, বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, এ্যাসাইনমেন্ট নং-০২

অধ্যায় ও শিরোনামঃ দ্বিতীয়, বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ ও বিষয়বস্তুঃ ১. ভারত উপমহাদেশের নগর সভ্যতা, ২. উয়ারী বটেশ্বর, ৩. মহাস্থান (পুন্ড্রনগর), ৪ ও ৫. প্রাচীন বিশ্বসভ্যতা;

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নাম, অবস্থান, প্রাপ্ত নিদর্শন, বানিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত কর এবং বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ

উপরের ছবিতে উল্লেখিত অনুযায়ী-

  • ১. অনুরূপ ছক তৈরি করো।
  • ২. উপরিউক্ত ছকের আলোকে এ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করবে।
  • ৩. পাঠ্যপুস্তুক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসরণ করবে।
  • ৪. প্রয়োজনে একাধিক কাগজ ব্যবহার করতে পারবে।
  • ৫. প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিটি সভ্যতার একটি চিত্র ব্যবহার করবে।

বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নাম, অবস্থান, প্রাপ্ত নিদর্শন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুতঃ

বাংলাদেশের কয়েকটি নগর সভ্যতা, সভ্যতার অবস্থান, প্রাপ্ত নির্দশন, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের তালিকার ছক নিচে উপস্থাপন করা হলো :

সভ্যতার নাম : উয়ারী বটেশ্বর

অবস্থান

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতার(সিন্ধু) পর সভ্যতার ইতিহাসে এটি প্রাচীন বাংলার দ্বিতীয় নগর সভ্যতা। প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত নরসিংদী জেলার। বেলাব উপজেলার দুটি গ্রামের বর্তমান নাম। উয়ারী-বটেশ্বর। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছিল একমাত্র মাটির নিচে প্রাপ্ত এই নগর সভ্যতা উয়ারী-বটেশ্বর।

প্রাপ্ত নিদর্শন

ধাতব অলংকার, স্বল্প মূল্যবান পাথর ও কাচের পুঁতি, চুন-সুরকির রাস্তা, ইট নির্মিত স্থাপত্য ও দুর্গ ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা, পাথরের বাটখারা, হাইটিন ব্রেজ নির্মিত পাত্র, ও রোলেটেড মৃৎপাত্র, প্রাচীন চিত্রশিল্প, হাতিয়ার।

বানিজ্যিক গুরুত্ব


ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা এবং নয়নাভিরাম বাটখারা বাণিজ্যের পরিচায়ক। এখানে ছিল একটি নদীবন্দর। হাইটিন ব্রোঞ্জ নির্মিত পাত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে উয়ারীবটেশ্বর এর বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা বলা হয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একটি সমৃদ্ধ, সুপরিকল্পিত, প্রাচীন গঞ্জ বা বাণিজ্য কেন্দ্র। সমুদ্র বাণিজ্যের। সাথে এ অঞ্চলটি যুক্ত ছিল। “সৌনাগড়া ” যা গ্রিক ভূগোলবিদ, টলেমী তার বই ” জিওগ্রাফিয়াতে” উল্লেখ করেছিলেন;

সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য

উয়ারী-বটেশ্বরে প্রাপ্ত ধাতব অলংকার, স্বল্প মূল্যবান পাথর ও কাচের পুঁতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় বহন করে। এখান থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন চিত্রকলা তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের ধারনা দেয়। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।

উয়ারী বটেশ্বর

সভ্যতার নাম : মহাস্থানগড় (পুণ্ড্রনগর)

অবস্থান


ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতার( সিন্ধু) পর সভ্যতার ইতিহাসে। এটি প্রাচীন বাংলার দ্বিতীয় নগর সভ্যতা। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে মহাস্থানগড় (পুণ্ড্রনগর) অবস্থিত।

প্রাপ্ত নিদর্শন


প্রাচীন ব্রাহ্মী, লিপি, পোড়ামাটির শিল্পকর্ম, প্রাচীন বৌদ্ধবিহার, নগরের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, অলংকার ও মুদ্র ভাস্কর্য, বিভিন্ন যুগের মুদ্রা, কুপ মন্দির, তৈজসপত্র, মন্দির ও মসজিদ, তোরণ, বুরুজ, রৌপ্য ও তাম্র মুদ্রা, কালো মসৃণ মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির ফলক, মূর্তি সহ মাটি ও ধাতব দ্রব্যাদি;

বানিজ্যিক গুরুত্ব


১৫০০ সাল পর্যন্ত করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে গড়ে ওঠা এ মহাস্থানগড়ই ছিল। তখনকার মানুষের রাজধানী প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল।

যখন ইউরোপ আমেরিকা সভ্য হতে শেখেনি, তখন থেকেই এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে লোক আসত। পৃথিবীর অধিকাংশ নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল নদীর তীরে কারণ নদী থাকায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে নদী বড় ভূমিকা রাখে।

নদীর সাথে সমুদ্র যোগাযোগ সুবিধা, নগর সভ্যতা এবং কৃষি ফসল এশিয়া ইউরোপ বণিকদের কাছে ছিল এটি গুরুত্বপুর্ণ বানিজ্য নগরী। পুন্ড্রনগরের সঙ্গে বাণিজ্যিক কারণে ভারত উপমহাদেশের অনেক নগর বন্দরে যোগাযোগ ছিল ফলে বহু বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক লেনদেন ঘটেছিল।

সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের রাজধানী মহাস্থানগড়ের নাম ছিল পুণ্ড্রনগর। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।

প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি, পোড়ামাটির শিল্পকর্ম, প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি, পোড়ামাটির শিল্পকর্ম, প্রাচীন বৌদ্ধবিহার, অলংকার , কাচের পুঁতি, মাটির তৈজসপত্র, মসজিদ, মন্দির, মাজার শরীফ, শীলাদেবীর ঘাট, বেহুলার বাসর ঘর ইত্যাদি বাংলার ইতিহাস, সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রাচীন। সাংস্কৃতির রুপরেখা হিসেবে পরিচিত।২০১৭ সালে মহাস্থানগড় কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছিল।

মহাস্থানগড় (পুণ্ড্রনগর)

বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন

৩১ শে জুলাই, ২০২১

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক

বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়

নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।

বিষয়: বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য বিষয়ক প্রতিবেদন প্রস্তুত।

জনাব,

বিনীত নিবেদন এই যে, গত ১৮ জুলাই ২০২১ তারিখে প্রকাশিত আপনার আদেশ নং যাহার স্মারক ব.উ.বি ০৯/২০২১ অনুসারে “সাংস্কৃতিক” শিরোনামে প্রতিবেদন পেশ করছি।

বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিকে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য

বর্তমানে যে জীবনব্যবস্থা দেখা যায় তা হঠাৎ করে হয়নি। এর ভীত গড়া হয়েছে হাজারো বছর পূর্বে। কালে কালে এর পরিবর্তন ঘটেছে। তবে কিছু প্রাচীন নিদর্শন এখনো অক্ষুন্ন আছে। যা যত্ন সহকারে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের দেশে যে সকল সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয় তার যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন কাল থেকে।

বর্তমানে আমাদের দেশে মুসলিম ধর্মের মানুষ অধিক। কিন্তু প্রাচীন যুগে ইসলাম ধর্মের প্রচলন ছিল না। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ছিল অধিক রীতি নীতি, যার প্রভাব অনেকটা রয়ে গেছে এখন। তাছাড়া বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মেরও রীতিনীতি পরিলক্ষিত হয়।

প্রাচীন বাংলার অর্থনীতি ছিল কৃষিনির্ভর। এ সময় কৃষিতে উদ্বৃত্ত ছিল। ধান ছিল প্রধান ফসল। প্রাচীন বাংলায় উৎপাদিত গুড় ও চিনি বিদেশে রপ্তানি হতাে। তুলা সরিষা ও পান চাষের জন্য বাংলাদেশের খ্যাতি ছিল। অর্থাৎ প্রাচীন বাংলার কৃষিতে সমৃদ্ধ ছিল।

বর্তমান বাংলার কৃষির সাথে প্রাচীনকালে উৎপাদিত ফসলের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিদেশি নানা জাতের ফসল এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি। প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশের তাতিরা মিহি সুতি ও রেশমি কাপড় বুনতে পারদর্শী ছিল। প্রাচীন বাংলার মসলিন কাপড় ছিল পৃথিবী বিখ্যাত তখন উন্নত মানের মৃৎপাত্র, ধাতব পাত্র, অলংকার নির্মাণ হত।

বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে মসলিন কাপড়ের অস্তিত্ব না থাকলেও যারা মসলিন কাপড় তৈরি করতেন তাদের বংশধররা বর্তমানে জামদানি শাড়ি তৈরি করছেন। বর্তমান বাংলাদেশ এখন পােশাক শিল্পে পৃথিবীর অন্যতম অবস্থানে রয়েছে।

প্রাচীন যুগে বাংলাদেশ বিনােদন ও ধর্ম-কর্মের অংশ হিসেবে নাচ-গান, নাটক, মল্লযুদ্ধ ও কুস্তি খেলার প্রচলন ছিল। বাদ্যযন্ত্র হিসেবে কাসর, করতাল, বীণা, বাঁশি, মৃদঙ্গ দেখা যায়। তবে বর্তমানে এসব পুরাতন বাদ্যযন্ত্রের কয়েকটি সাথে মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও বর্তমান বাঙালি বাদ্যযন্ত্র হিসেবে রয়েছে ঢাক-ঢােল, হারমােনিয়াম, পিয়ানাে, বেহালা ইত্যাদি। প্রাচীন যুগের মঞ্চনাটকের প্রচলন ছিল।

কিন্তু বর্তমান সংস্কৃতির আগ্রহ টেলিভিশন কিংবা মােবাইলে নাটক দেখায়। বর্তমানে মঞ্চ নাটকের প্রচলন থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেলিভিশন কিংবা মােবাইল প্রযুক্তির উপর বেশিরভাগ দর্শক নির্ভরশীল।বিভিন্ন ধর্মের কাছ থেকে পাওয়া প্রেরণা। এসব মিলে জনবৈচিত্র্যের মতােই বাঙালি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকেও লালন করে আসছে।

চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা বলব। এখানে প্রকৃতি যেমন সমৃদ্ধ তেমনি তার রয়েছে ভাঙাগড়ার খামখেয়ালিপনা। একে কোনভাবেই এড়িয়ে চলা সম্ভব ছিল না, এখনও অসম্ভব। তাই বলা যায় যে, প্রাচীন বাংলার ও বর্তমান বাংলার সংস্কৃতির মধ্য বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাদৃশ্য আজও বিদ্যমান।

প্রতিবেদকের নাম : খাদিজাতুল স্বর্ণা

প্রতিবেদন তৈরির সময় : রাত ১০:০০ টা

প্রতিবেদন তৈরির স্থান : বক্সগঞ্জ

বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাচীন নগর সভ্যতার নাম, অবস্থান, প্রাপ্ত নিদর্শন, বানিজ্যিক গুরুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে ছকের মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুতি এবং বর্তমান বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন তৈরি;

আরো দেখুন-

তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে;

বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য

তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো- গ্রুপ লিংক- facebook.com/groups/banglanotice নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ